জাতিরাষ্ট্র (nation-state) নিজেই এখন এমন এক অত্যন্ত সংকীর্ণ কাঠামোয় পরিণত যে উৎপাদিকা শক্তির অব্যাহত বিকাশ ঘটাতে সে আর সক্ষম নয় । পৃথক পৃথক প্রতিটি শিল্পোদ্যোগের ক্ষেত্রে তাই এই সত্য আরো অনেক বেশি করে প্রযোজ্য । পুঁজিবাদের সাধারণ নিয়মগুলোর খপ্পর থেকে এইসব শিল্পোদ্যোগের সত্যিকার কোন স্বাতন্ত্র্য কোনদিনই ছিল না। পতনশীল অবস্থায় এরা আরো বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ে ঐসব নিয়ম ও রাষ্ট্রের ওপর । এই কারণেই গত শতাব্দীতে স্ব-পরিচালনা (অর্থাৎ পুঁজিবাদী সমাজের মধ্যেই শ্রমিকদের দ্বারা উদ্যোগ ধান্দার পরিচালনা)-র পক্ষে প্রুধো-পন্থীদের (Proudhonist) প্রচার যদিও আসলে পেটিবুজোর্য়া কল্পনাবিলাস মাত্রই ছিল আজ তা শ্রমিকদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর পুঁজিবাদী প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয় ।
নিজেদের শোষণ নিজেরাই সংগঠিত করে সংকটগ্রস্ত শিল্পোদ্যোগকে বাঁচিয়ে তোলার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে শ্রমিকশ্রেণীকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য পুঁজির অর্থনৈতিক হাতিয়ারের ভূমিকাই পালন করে এটা । এটা প্রতিবিপ্লবের রাজনৈতিক হাতিয়ারের ভূমিকাও পালন করে যেহেতু: