‘আংশিক’ সংগ্রাম: প্রতিক্রিয়াশীলতার গোলকধাঁধা

‘Partial’ struggles: a reactionary dead-end

পুঁজির পতনশীল অবস্থা সবরকম নৈতিক মূল্যের পচনশীলতার প্রক্রিয়াকে (decomposition) জোরদার ক'রে তুলেছে এবং মানবিক সম্পর্কের জগৎকে চরম অধঃপতন ও ভাঙনের মুখোমুখি এনে দাঁড় করিয়েছে ।

এ কথা সত্য যে শ্রমিকশ্রেণীর বিপ্লব নতুন সম্পর্কের সৃষ্টি করবে সমাজজীবনের সব ক্ষেত্রে কিন্তু তার মানে এই নয় যে __বর্ণবৈষম্য, মহিলাদের অবস্থান , দূষণ ,যৌনতা ,  এবং দৈনন্দিন জীবনের এই রকম অন্যান্য সব সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে নিদির্ষ্ট ধরনের আংশিক আন্দোলন সংগঠিত করার মাধ্যমে প্রলেতারীয় বিপ্লবের অগ্রগতিকে জোরদার ক'রে তোলা সম্ভব; আসলে এইরকম চিন্তা একদম ভুল ।

পুঁজিবাদী ব্যবস্থার অথনৈর্তিক বুনিয়াদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের মধ্যেই নিহিত আছে উপরিকাঠামোগত দিকের (Super-structural aspects) বিরুদ্ধে  সংগ্রাম, এর বিপরীতটা নয়।  ‘আংশিক' সংগ্রামের চরিত্রই এমন যে তা প্রলেতারীয়েতের পক্ষে চরম গুরুত্বপূর্ণ শ্রেণীস্বাতন্ত্রে‌র ভিত্তিকে মজবুত তো করেই না ,বরং বিপরীতে ( বর্ণগত, লিঙ্গগত, জাতিগত, যুব সম্প্রদায়গত ইত্যাদি) কতকগুলো অস্পষ্ট সামাজিক স্তরের(confused categories) ভিত্তিতে শ্রমিকশ্রেণিকে সংগঠিত ক'রে তার শ্রেণি চরিত্রকেই গুলিয়ে দেয় এবং শেষপযর্ন্ত ইতিহাসের গতির মুখে নস্যাৎ হয়ে যাওয়া ছাড়া এসংগ্রামের আর কিছুই করার থাকে না।   এইজন্যই বুজোর্য়া সরকার এবং সব রাজনৈতিক দল আংশিক সংগ্রামকে জোরালো করে তোলা এবং সামাজিক ব্যবস্থা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে ভালোভাবে ব্যবহার করার ব্যাপারটা রপ্ত করে নিয়েছে ।