englishfrançaisdeutschitalianosvenskaespañoltürkçenederlandsportuguêsΕλληνικά
русскийहिन्दीفارسی한국어日本語filipino中文বাংলাmagyarsuomi
CAPTCHA
This question is for testing whether or not you are a human visitor and to prevent automated spam submissions.
  • Reset your password
নীড়পাতা
ইন্টারন্যাশানাল কম্যুনিস্ট কারেন্ট
দুনিয়ার মজদুর এক হও!

Main navigation

  • ICC’র সাথে যোগাযোগ
  • ইন্টারন্যাশনাল কম্যুনিষ্ট কারেন্টের মৌলিক রাজনৈতিক অবস্থান
  • আইসিসি-র প্ল্যাটফর্ম

পতনশীল পুঁজিবাদের যুগে শ্রমিকশ্রেণীর সংগ্রাম

Breadcrumb

  • নীড়পাতা
  • আইসিসি-র প্ল্যাটফর্ম

The proletarian struggle under decadent capitalism

 

শ্রেণী স্বার্থরক্ষার উদ্দেশ্যে শ্রমিকশ্রেণীর সংগ্রাম শুরু থেকেই পুঁজিবাদের উচ্ছেদ ও কমিউনিজম প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত লক্ষ্য ও পরিকল্পনাকে ধারণ ক'রে এসেছে । কোনো স্বগীর্য় অনুপ্রেরনা চালিত বিশুদ্ধ আদর্শবাদের বশবর্তী হয়ে কিন্তু শ্রমিকশ্রেণী সংগ্রামের চূড়ান্ত  লক্ষ্যাভিমুখে এগিয়ে চলে না । বস্তুগত অবস্থার বিবর্তনের ফলে তাৎক্ষনিক সংগ্রামের প্রচলিত পদ্ধতিগুলো যখন শুধু বির্পয়ের মুখেই ঠেলে দেয় , তখনি কমিউনিষ্ট বিপ্লবের কর্মসূচি গ্রহণ করতে শ্রমিকশ্রেণী বাধ্য হয় ।

উথ্থানের যুগে বিশাল বিস্তৃতির ফলে শ্রমিকশ্রেণীর জীবনযাত্রায় সত্যিকার সংস্কার ঘটাতে পুঁজিবাদের সক্ষম  থাকার সময়ে , শ্রমিকশ্রেণীর সংগ্রামে বিপ্লবী কর্মসূচি রূপায়নের জন্য প্রয়োজনীয় বস্তুগত অবস্থার (objective conditions)অভাব ছিল । 

বুর্জোয়া বিপ্লবের পযার্য়েও শ্রমিকশ্রেণীর আন্দোলনে সবথেকে সচেতন ধারাগুলির ঘোষিত বিপ্লবী,কমিউনিষ্ট লক্ষ্য ও আকাঙ্খা সত্ত্বেও , সেই ঐতিহাসিক যুগে শ্রমিকশ্রেণীর আন্দোলন , সংস্কারের জন্য সংগ্রামের সীমারেখা অতিক্রম করতে পারত না ।

ট্রেড ইউনিয়ন ও সংসদীয় সংগ্রামের মাধ্যমে অথনৈর্তিক  রাজনৈতিক সংস্কারের দাবিদাওয়াগুলো জিতে নেবার উদ্দেশ্যে , নিজেকে সংগঠিত ক'রে তোলার রীতি পদ্ধতি শিখে নেওয়ার সামগ্রিক প্রক্রিয়াটা , ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে শ্রমিকশ্রেণীর যাবতীয় কর্মকান্ডের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু (focal point) ছিল । তাই ‘সংস্কারবাদী'(reformist) লোকজন ও বিপ্লবীদের পাশাপাশি থাকতে দেখা যেত শ্রমিকশ্রেণীর সত্যিকার (genuine) সংগঠনগুলির ভিতরে । ( প্রথমোক্তদের মতে শ্রমিকশ্রেণীর সংগ্রামের সমস্তটাই হল শুধু সংস্কারের জন্য সংগ্রাম । শেষোক্তদের কাছে বিপ্লবী শ্রেণীসংগ্রামের অভিমুখে বিকশিত হবার প্রক্রিয়া একটা ধাপ বা মুহূর্তমাত্র হল সংস্কারের জন্য সংগ্রাম )। শ্রেণীর এবং উৎপাদিকা শক্তিগুলিরও বিকাশের পক্ষে অনুকূল সামাজিক পরিবর্তনে গতিসঞ্চারের জন্য বুজোর্য়াদের বেশি প্রতিক্রিয়াবাদী অংশের বিরুদ্ধে অন্য কোন কোন অংশকে সমর্থন করাও সেই যুগে শ্রমিকশ্রেণীর পক্ষে সম্ভব ছিল । 

এইসব অবস্থার মৌলিক পরিবর্তন ঘটে গেল পতনশীল পুঁজিবাদের যুগে ।  বতর্মানের সমস্ত জাতীয় পুঁজিকে ধারণ করতে হলে যতটা বড় হওয়া দরকার , তার থেকে অনেক ছোট হয়ে পড়েছে পৃথিবী । প্রতিটি রাষ্ট্রেই চূড়ান্ত সীমা পযন্ত শ্রমের উৎপাদনক্ষমতা (productivity) বাড়াতে (অর্থাৎ শ্রমিকশ্রেণীর শোষণ বাড়াতে ) পুঁজি বাধ্য হচ্ছে । সংগঠিত রূপে এই শোষণ পরিচালনা (organization of exploitation) এখন আর শুধু ব্যক্তিগত নিয়োগকর্তা ও শ্রমিকদের মধ্যেকার বিষয় নয় । রাষ্ট্র ও অন্যান্য হাজারো ধরনের সাংগঠনিক কাঠামোর চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এটা। শ্রমিকশ্রেণীকে নিদির্ষ্ট সীমার মধ্যে আটকে রাখা, চালিত করা এবং বিপ্লবী সংগ্রামের বিপজ্জনক রাস্তা থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে এইসব সাংগঠনিক কাঠামো আর এসবের সাহায্যে সুব্যবস্থিত এবং প্রতারণাপূর্ণ দমনের শিকারে পরিনত ক'রে রাখা হয় শ্রমিকশ্রেণীকে ।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকেই মুদ্রাস্ফীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থায়ী একটা ব্যাপার । যে কোন বেতনবৃদ্ধির  সম্ভাব্য সুফলকে তৎক্ষনাৎ গিলে ফেলে এই মুদ্রাস্ফীতি । কাজের সময়ের পরিমান হয় একই আছে অথবা একটু কমেছে । তবে কর্মস্থলে যেতে আসতে প্রয়োজনীয় বেশি সময়টার কিছুটা ক্ষতিপূরণ এবং সামাজিক জীবন ও কাজের দমবন্ধ করা গতির ফলে শ্রমিকশ্রেণীর চূড়ান্ত স্নায়ু বৈকল্যের (total nervous collapse) সম্ভাবনা এড়ানোর জন্যই শুধু কাজের সময়টা খানিকটা কমানো হয়েছে  । 

সংস্কারের জন্য সংগ্রাম হয়ে দাঁড়িয়েছে একটা নিরর্থক কল্পনাবিলাস । এই যুগে পুঁজির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত উচ্ছেদের লক্ষ্যে পরিচালিত সংগ্রামেই শুধু শ্রমিকশ্রেণী লিপ্ত হতে পারে । লক্ষ লক্ষ বিধ্বস্ত,বশমানা, পরস্পর বিচ্ছিন্ন লোকেদের একটা সমষ্টি হয়ে থাকতে রাজি হওয়া অথবা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই লড়াই এর উদ্দেশ্যে অনিবারয সংগ্রামগুলোকে সম্ভাব্য ব্যাপকতমভাবে সাধারন শ্রেণীসংগ্রামে রূপান্তরিত করা----- এদুয়ের মাঝামাঝি আর কোন বিকল্প তার কাছে নেই । এইভাবে বিশুদ্ধ অর্থনেতিক , স্থানীয় বা বিভাগীয় স্তরে সংগ্রামকে সীমিত হতে দিতে অবশ্যই অস্বীকার করতে হবে তাকে এবং ভবিষ্যতের শ্রমিকশ্রেণীর একনায়কত্বের সংগঠন বা workers council-এর ভ্রূণ হিসেবে নিজেকে সংগঠিত করতে হবে ।

এইসব নতুন ঐতিহাসিক অবস্থায় পুরনো হাতিয়ারের অনেককিছুকেই শ্রমিকশ্রেণী আর কাজে লাগাতে পারেনা । বস্তুতপক্ষে , শ্রমিকশ্রেণীকে শোষনের যাঁতাকলে বেঁধে রাখা এবং সংগ্রামের ইচ্ছাকে স্তিমিত করার জন্যই শুধু , কোনো কোনো রাজনৈতিক ধারা  ঐসব হাতিয়ারকে এখনো ব্যবহার করার কথা বলতে থাকে। চূড়ান্ত(maximum) ও ন্যূনতম(minimum) কর্মসূচির মধ্যে যে পাথর্ক্যরেখা টেনেছিল ঊনবিংশ শতাব্দীর শ্রমিকশ্রেণীর আন্দোলন , আজ তা সমস্ত অর্থ বা তাৎপরয হারিয়ে ফেলেছে । ন্যূনতম কর্মসূচি আর সম্ভব নয়। চূড়ান্ত বা কমিউনিষ্ট বিপ্লবের কর্মসূচির প্রেক্ষাপটের অন্তর্ভুক্ত করেই কেবল শ্রমিকশ্রেণী তার সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

Book traversal links for পতনশীল পুঁজিবাদের যুগে শ্রমিকশ্রেণীর সংগ্রাম

  • ‹ তথাকথিত ‘সমাজতান্ত্রিক’ দেশসমূহ
  • Up
  • ট্রেড ইউনিয়ন : অতীতে শ্রমিক-সংগ্রামের হাতিয়ার, বতর্মানে হাতিয়ার পুঁজির ›
নীড়পাতা
ইন্টারন্যাশানাল কম্যুনিস্ট কারেন্ট
দুনিয়ার মজদুর এক হও!

Footer menu

  • ইন্টারন্যাশনাল কম্যুনিষ্ট কারেন্টের মৌলিক রাজনৈতিক অবস্থান
  • Contact