ইসরায়েল, গাজা, ইউক্রেন, আজারবাইজানে গণহত্যা ও যুদ্ধ... পুঁজিবাদ মৃত্যুর বীজ বপন করে! আমরা কিভাবে এটা থামাতে পারি?

"ভয়াবহতা", "গণহত্যা", "সন্ত্রাসবাদ", "সন্ত্রাস", "যুদ্ধাপরাধ", "মানবিক বিপর্যয়", "গণহত্যা"... আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রথম পাতায় ছড়িয়ে পড়া শব্দগুলো গাজায় বর্বরতার মাত্রা সম্পর্কে অনেক কিছু বলে।

গণহত্যার নিরিখে কোন সাম্রাজ্যবাদী শিবিরকে সমর্থন নয়! শান্তিবাদী বিভ্রমকে সমর্থণ নয়! চাই সর্বহারার আন্তর্জাতিকতাবাদ!

সেই ১৯১৪ সাল থেকে ঘটে আসা বিশ্ব-পুঁজিবাদের  শতাব্দীব্যাপী স্থায়ী যুদ্ধের সর্বশেষ নিদর্শন মধ্যপ্রাচ্যে চলমান রক্তস্নাত সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ!

লক্ষ লক্ষ নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের গণহত্যা, এমনকি পুরো দেশকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা্র ঘটনা আগামী দিনগুলিতে আরও ভয়াবহ নৃশংসতার প্রতিশ্রুতি ছাড়া আর কিছুই বয়ে আনছে না।  

বর্তমান পরিস্থিতিতে পৃথিবীর ছোট-বড় বিভিন্ন সাম্রাজ্যবাদীশক্তি যে যৌক্তিক সমাধানের কথা বলছে সেটা আসলে  বিভিন্ন দেশের  জাতীয় প্রতিপক্ষীয় বুর্জোয়াশ্রেণীর  ভ্রাতৃঘাতী হত্যায়  শ্রমিকশ্রেণিকে বিভক্ত করা ও পক্ষাবলম্বনের জন্য প্রস্তুত করার বিশাল প্রতারণার শামিল।  

না ইসরাইল না ফিলিস্তিন ! শ্রমিকদের পিতৃভূমি নেই !

গত শনিবার থেকে ইসরায়েল ও গাজায় বসবাসরত সাধারণ মানুষের উপর আগুনের অবিরাম ধারা বর্ষিত হচ্ছে। একদিকে হামাস, অন্যদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী, এরই মাঝখানে অবস্থানরত বেসামরিক নাগরিকদের গুলি ছোড়া হচ্ছে, কার্যকর করা হচ্ছে মৃত্যুদন্ড এবং বহু মানুষকে  গৃহবন্দী করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সহস্রাধিক মানুষ মারা গেছে।    

কিভাবে আমরা একটি বিশাল ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে একসাথে লড়াই করতে পারি?

বৃটেন,ফ্রান্স,ইতালি, জার্মানি,পর্তুগাল, ইউনাইটেড স্টেটস……

সর্বত্রই নেমেছে অর্থনৈতিক নিপীড়ন

সর্বত্রই চলছে শ্রমিকশ্রেণির সংগ্রাম

সর্বত্রই বুর্জোয়ারা আমাদের বিভাজন করছে

ব্রিটেনে এখন ‘অসন্তুষ্টির গ্রীষ্ম’ : শাসক শ্রেণী চায় শ্রমিকের আত্মবলিদান; শ্রমিকশ্রেণীর প্রতিক্রিয়া হল সংগ্রাম করা!

“যথেষ্ট  হয়েছে”-  গত  বেশ কয়েক  সপ্তাহ  ধরে  UK   তে ঘটে  চলা  ধর্মঘটে এই ধ্বনি  প্রতিধ্বনিত হয়ে চলেছে। ‘অসন্তোষের গ্রীষ্ম  ' নামে ভূষিত   এই বিশালাকার আন্দোলন  মনে  করিয়ে  দিচ্ছে ১৯৭৯ এর অসন্তোষের  শীত’কে। দেশের  বিভিন্ন  প্রান্ত থেকে  এই আন্দোলনে রেলওয়ে  থেকে  শুরু করে  ভূগর্ভস্হ শ্রমিক, বৃটিশ  টেলিকম, ফেলিক্সো  ( দক্ষিণ পূর্ব  বৃটেনের  গুরুত্বপূর্ণ  বন্দর)  এর বন্দর  কর্মীরা, বরখাস্ত  শ্রমিক,  বাসচালক,  এ্যামাজন কর্মী  যোগদান  করেছে।   এই আন্দোলনের গতি   যানবাহন  থেকে   স্বাস্থ্যকর্মী শিক্ষক  সর্বত্র  ঝড়ের গতিতে  ছড়িয়ে  পড়ছে। সমস্ত  সাংবাদিক  ও ভাষ্যকাররা একে শতাব্দীর  সবচেয়ে  বড়ো  আন্দ

ইউক্রেন-যুদ্ধ প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট লেফট গ্রুপগুলির যৌথ বিবৃতি

ইউক্রেনের যুদ্ধের হচ্ছে ছোট-বড় বিভিন্ন সাম্রাজ্যবাদী শক্তি গুলির পারস্পরিক স্বার্থ সংঘাতের  জন্য, এর সাথে কোনো ভাবেই আন্তর্জাতিক ঐক্যের প্রতীক  শ্রমিক শ্রেণীর স্বার্থের কোনো  রূপ কোনো সম্পর্ক নেই । প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সামরিক এবং অর্থনৈতিক প্রভুত্ব কায়েমের জন্য এটি আমেরিকা,রাশিয়া পশ্চিম-ইউরোপীয় রাষ্ট্রযন্ত্রগুলির দায়িত্বে থাকা যুদ্ধবাজদের একটি ভূ-আঞ্চলিক কৌশলগত লড়াই। এই লড়াইয়ে ইউক্রেনের শাসক শ্রেণীকে  বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদী  দাবার  মঞ্চে একটি বোড়ে হিসেবে কাজে লাগানো  হচ্ছে।

কোভিডের মোকাবিলায় এক বছরের অবহেলা: পুঁজিবাদই হন্তারক!

এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই পৃথিবীর চারিদিকে কোভিড-১৯ দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে। দু হাজার কুড়ির নভেম্বর মাস থেকে সারা বিশ্বে কোভিড এর আরো ভয়ংকর হয়ে ওঠার যাত্রা অব্যাহত রয়েছে। ইউরোপের অবস্থার কিছুটা উন্নতি এবং আমেরিকা তার ভয়ংকর অবস্থা কিছুটা কাটিয়ে উঠলে ও ল্যাটিন আমেরিকা এবং ভারতীয় উপমহাদেশ এই মুহূর্তে সংক্রমণের শীর্ষে।  চাইনার মতো দেশগুলিতে বৃহৎ সংখ্যক জনগণকে ভ্যাকসিন(1) দেওয়া সত্ত্বেও  সংক্রমণ পিছু হঠে নি । পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে চীনা কর্তৃপক্ষের মধ্যেও কিছু কণ্ঠস্বর ভ্যাকসিনের "অপর্যাপ্ত" কার্যকারিতা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে। চীন এবং অন্যান্য বেশ কিছু দেশের মিথ্যা তথ্য সত্ত্বেও সা

আমাদের কমরেড কিষণের প্রতি শ্রদ্ধা

২০২০ সালের ২৬ শে মার্চ সারা বিশ্ব যখন কোভিড ১৯ এ আক্রান্ত  তখনই কমরেড কিষণের মৃত্যুতে  আই. সি. সি  র সঙ্গে যুক্ত  সকলেই এক বেদনাঘন অবস্থার সম্মুখীন হলাম। তাঁর মৃত্যু 'আই সি সি ' র কাছে যেমন বিশাল ক্ষতি,  তেমনি ' আই. সি. সি' র ভারতীয় অংশের কাছেও সমান ক্ষতি । কিষণের অভাব আমরা  সবাই গভীর ভাবে অনুভব করব। আই সি সি র কর্মকান্ডে কিষণের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত  কিষণ ছিলেন একজন লড়াকু  যোদ্ধা ।

Covid-19 pandemic: সর্বাত্মক পুঁজিবাদী বর্বরতা অথবা প্রলেতারিয় বিশ্ববিপ্লব

প্রতিদিন হাজারো মানুষ মারা যাচ্ছে। হাসপাতালগুলিতে নাভিশ্বাস অবস্থা। তারা ভয়ানক দ্বিধায় আছে যে, অসুস্থদের মধ্যে কে আগে চিকিৎসা পাবে, তরুণরা নাকি বৃদ্ধরা ? স্বাস্থ্যকর্মিরা নিজেরাই সংক্রমিত, অবসন্ন এবং মৃত্যুপথযাত্রী। সর্বত্রই চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব। প্রতিটি দেশের সরকার এখন ‘ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’, ‘জাতীয় অর্থনীতির স্বার্থ’ ইত্যাদির দোহাই দিয়ে নিজেদের মধ্যে মারাত্মক প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে। অর্থনৈতিক বাজার নিম্নমুখী। কোন দেশ কার মাস্ক চুরি করছে তাই নিয়ে আধিভৌতিক তরজা চলছে। ইতিমধ্যে দশ মিলিয়ন লোক বেকারত্বের নরকে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। সরকার এবং তার পোষা মিডিয়ার মিথ্যাচারের বন্যা অব্যাহত। এটাই হচ্ছে বর্তমান পৃথিবীর ভয়ানক হকিকত। ১৯১৮-১৯ সালের ভয়ানক স্প্যানিস ফ্লুর পরে সব থেকে ভয়ঙ্কর স্বাস্থ্যসংকট এই করোনা মহামারী। যদিও সেই সময়ের থেকে আজকের বিজ্ঞান অভূতপূর্ব উন্নতি সাধন করেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এ রকম বিপর্যয় কেন? কীভাবে এমন ঘটলো?

বর্তমানে ফ্যাসিজমের বিপদ আছে কী? (Is there a danger of fascism today?)

গত ৩০শে জুন ২০১২-য় প্যারিসে আইসিসির একটা পাবলিক মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনাটা শুরু করতে এবং তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুবিধার্থে আমরা একটি লিখিত প্রেজেনটেসন্‌ রাখি।  বর্তমান প্রবন্ধটা তার ওপর ভিত্তি করে লিখিত।

অতি দক্ষিণপন্থীদের নির্বাচনী সাফল্য কিছুসময় ধরে ফ্যাসিজমের উত্থানের আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। সত্যি বলতে কি,  প্ররোচনামূলক, অন্য দেশের প্রতি তীব্র ঘৃণা(Xenophobic) ছড়ানো এবং উগ্র জাতিবিদ্বেষী(racist) বক্তব্য দিয়ে এই রাজনৈতিক দলকে আলাদাভাবে চেনা যায়।...

পৃষ্ঠাসমূহ

Subscribe to ইন্টারন্যাশানাল কম্যুনিস্ট কারেন্ট RSS