Self-management: workers’ self-exploitation
জাতিরাষ্ট্র (nation-state) নিজেই এখন এমন এক অত্যন্ত সংকীর্ণ কাঠামোয় পরিণত যে উৎপাদিকা শক্তির অব্যাহত বিকাশ ঘটাতে সে আর সক্ষম নয় । পৃথক পৃথক প্রতিটি শিল্পোদ্যোগের ক্ষেত্রে তাই এই সত্য আরো অনেক বেশি করে প্রযোজ্য । পুঁজিবাদের সাধারণ নিয়মগুলোর খপ্পর থেকে এইসব শিল্পোদ্যোগের সত্যিকার কোন স্বাতন্ত্র্য কোনদিনই ছিল না। পতনশীল অবস্থায় এরা আরো বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ে ঐসব নিয়ম ও রাষ্ট্রের ওপর । এই কারণেই গত শতাব্দীতে স্ব-পরিচালনা (অর্থাৎ পুঁজিবাদী সমাজের মধ্যেই শ্রমিকদের দ্বারা উদ্যোগ ধান্দার পরিচালনা)-র পক্ষে প্রুধো-পন্থীদের (Proudhonist) প্রচার যদিও আসলে পেটিবুজোর্য়া কল্পনাবিলাস মাত্রই ছিল আজ তা শ্রমিকদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর পুঁজিবাদী প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয় ।
নিজেদের শোষণ নিজেরাই সংগঠিত করে সংকটগ্রস্ত শিল্পোদ্যোগকে বাঁচিয়ে তোলার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে শ্রমিকশ্রেণীকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য পুঁজির অর্থনৈতিক হাতিয়ারের ভূমিকাই পালন করে এটা । এটা প্রতিবিপ্লবের রাজনৈতিক হাতিয়ারের ভূমিকাও পালন করে যেহেতু:
- কারখানা ,এলাকা ও বিভাগ (sector) গত ভাবে শ্রমিক শ্রেণীকে আবদ্ধ ও বিচ্ছিন্ন করার মাধ্যমে বিভাজিত করে ।
- পুঁজিবাদী অর্থনীতি টিকিয়ে রাখার দায়দায়িত্বের বোঝা চাপিয়ে দেয় শ্রমিকশ্রেণীর কাঁধে যখন কিনা তার সম্পূর্ণ উচ্ছেদই হয়ে উঠেছে একমাত্র কর্তব্য ।
- মুক্তির সম্ভাবনা সুনিশ্চিত করার জন্য অপরিহারয মৌলিক কর্তব্য অর্থাৎ পুঁজিবাদী রাষ্ট্রযন্ত্রের ধ্বংস সাধন এবং সারা দুনিয়া জুড়ে শ্রেণী একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠার পথ থেকে বিচ্যুত করে শ্রমিকশ্রেণীকে ।
স্ব-পরিচালনার সমর্থনে যে কোনও রাজনৈতিক অবস্থান (এমন কী তা ‘শ্রমিকশ্রেণীর অভিজ্ঞতা' অথবা ‘শ্রমিকদের মধ্যে নতুন সম্পর্ক গ'ড়ে তোলা'র নামে হলেও ) আসলে কিন্তু পুঁজিবাদী সর্ম্পক টিকিয়ে রাখতেই সাহায্য ক'রে চলেছে ।