ইউক্রেন-যুদ্ধ প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট লেফট গ্রুপগুলির যৌথ বিবৃতি
ইউক্রেনের যুদ্ধের হচ্ছে ছোট-বড় বিভিন্ন সাম্রাজ্যবাদী শক্তি গুলির পারস্পরিক স্বার্থ সংঘাতের জন্য, এর সাথে কোনো ভাবেই আন্তর্জাতিক ঐক্যের প্রতীক শ্রমিক শ্রেণীর স্বার্থের কোনো রূপ কোনো সম্পর্ক নেই । প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সামরিক এবং অর্থনৈতিক প্রভুত্ব কায়েমের জন্য এটি আমেরিকা,রাশিয়া পশ্চিম-ইউরোপীয় রাষ্ট্রযন্ত্রগুলির দায়িত্বে থাকা যুদ্ধবাজদের একটি ভূ-আঞ্চলিক কৌশলগত লড়াই। এই লড়াইয়ে ইউক্রেনের শাসক শ্রেণীকে বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদী দাবার মঞ্চে একটি বোড়ে হিসেবে কাজে লাগানো হচ্ছে।
ইসরায়েল, গাজা, ইউক্রেন, আজারবাইজানে গণহত্যা ও যুদ্ধ... পুঁজিবাদ মৃত্যুর বীজ বপন করে! আমরা কিভাবে এটা থামাতে পারি?
"ভয়াবহতা", "গণহত্যা", "সন্ত্রাসবাদ", "সন্ত্রাস", "যুদ্ধাপরাধ", "মানবিক বিপর্যয়", "গণহত্যা"... আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রথম পাতায় ছড়িয়ে পড়া শব্দগুলো গাজায় বর্বরতার মাত্রা সম্পর্কে অনেক কিছু বলে।
গণহত্যার নিরিখে কোন সাম্রাজ্যবাদী শিবিরকে সমর্থন নয়! শান্তিবাদী বিভ্রমকে সমর্থণ নয়! চাই সর্বহারার আন্তর্জাতিকতাবাদ!
সেই ১৯১৪ সাল থেকে ঘটে আসা বিশ্ব-পুঁজিবাদের শতাব্দীব্যাপী স্থায়ী যুদ্ধের সর্বশেষ নিদর্শন মধ্যপ্রাচ্যে চলমান রক্তস্নাত সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ!
লক্ষ লক্ষ নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের গণহত্যা, এমনকি পুরো দেশকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা্র ঘটনা আগামী দিনগুলিতে আরও ভয়াবহ নৃশংসতার প্রতিশ্রুতি ছাড়া আর কিছুই বয়ে আনছে না।
না ইসরাইল না ফিলিস্তিন ! শ্রমিকদের পিতৃভূমি নেই !
এই দুই পক্ষের একটিকে বেছে নেওয়ার জন্য সারা বিশ্বের বুর্জোয়ারা আমাদের আহ্বান জানাচ্ছে। ইসরায়েলি নিপীড়নের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধের জন্য অথবা ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি প্রতিক্রিয়াকে সমর্থণের জন্য এই আহ্বান । প্রত্যেকেই যুদ্ধকে ন্যায়সঙ্গত করার…
কিভাবে আমরা একটি বিশাল ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে একসাথে লড়াই করতে পারি?
বৃটেন,ফ্রান্স,ইতালি, জার্মানি,পর্তুগাল, ইউনাইটেড স্টেটস……
সর্বত্রই নেমেছে অর্থনৈতিক নিপীড়ন
সর্বত্রই চলছে শ্রমিকশ্রেণির সংগ্রাম
সর্বত্রই বুর্জোয়ারা আমাদের বিভাজন করছে
কমনওয়েলথ গেমস ও শ্রমিক-শোষণের তীব্রতার নগ্নরূপ
পরিশেষে বলা দরকার, যেমনটা হয়েছিল বেজিঙ অলিম্পিকে, যেমনটা হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে ঠিক তেমনিভাবেই দিল্লির বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হয়েছিল।....
ফ্রান্সে শ্রেণি-সংগ্রাম
অভিবাদন জানাই শ্রমিক শ্রেণির নতুন প্রজন্মকে!
ফ্রান্সের চিরাক/ভেলপাঁ/সারকোজি সরকার গায়ের জোরে চাকরি সংক্রান্ত এক জঘন্য কালাকানুন চালু করেছে যার নাম হল সি.পি.ই.(প্রথম নিয়োগ চুক্তি বা First Employment / job Contract)। এর বিরুদ্ধে সেদেশের ছাত্রসমাজ যে বিশাল বিক্ষোভ-আন্দোলন গড়ে তুলেছে তা বতর্মান সময়ে আন্তজার্তিক ভাবে শ্রমিকশ্রেণির পুনরায় জেগে উঠতে থাকা সংগ্রামগুলোর অংশ হিসেবেই দেখতে হবে। বিভিন্ন শ্রেণির মিলিজুলি করে চলা আগেকার যেসব ছাত্র আন্দোলন তার সাথে এর কোন মিল নেই। এ সংগ্রাম সমগ্র শ্রমিক শ্রেণির শ্রেণি-সংগ্রামের অংশ। পুঁজিবাদের…
ফ্রান্সে পুঁজিবাদ বিরোধী আন্দোলন
ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম থেকে বিদ্যালয়গুলিতে ছুটি থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা ফ্রান্সের অধিকাংশ বড় শহরগুলিতে সরকার ও মালিকের অথনৈতিক আক্রমনের বিরুদ্ধে এবং CPE আইনের বিরুদ্ধে একত্রিত হয়েছে এবং তাদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছে, যদিও গণমাধ্যমগুলি (বিশেষত, টিভি) এ বিষয়ে সম্পূণ নীরব। বরং ‘বারবারিয়ান গ্যাং’ এর জঘন্য ক্রিয়াকলাপগুলি প্রচারের আলোতে নিয়ে আসার প্রতিই তাদের মনোযোগ বেশি।
ইন্টারন্যাশানাল কমিউনিস্ট কারেন্টের প্যান এশিয়ান কনফারেন্স ফেব্রুয়ারি ২০১০ (Pan Asian Conference of the ICC February 2010)
২০১০-র ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে আইসিসি তার এশিয়ার বিভিন্ন দেশে অবস্থিত সেকসনগুলোকে নিয়ে একটি সম্মেলন করে। সম্মেলনে ফিলিপাইন্স, তুর্কি এবং ভারতের সেকসনগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আইসিসির প্রতি সহমর্মী ছাত্র, যুব এবং শ্রমিকেরা উপস্থিত ছিলেন;.....
ব্রিটেনে এখন ‘অসন্তুষ্টির গ্রীষ্ম’ : শাসক শ্রেণী চায় শ্রমিকের আত্মবলিদান; শ্রমিকশ্রেণীর প্রতিক্রিয়া হল সংগ্রাম করা!
“যথেষ্ট হয়েছে”- গত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে UK তে ঘটে চলা ধর্মঘটে এই ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হয়ে চলেছে। ‘অসন্তোষের গ্রীষ্ম ' নামে ভূষিত এই বিশালাকার আন্দোলন মনে করিয়ে দিচ্ছে ১৯৭৯ এর অসন্তোষের শীত’কে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই আন্দোলনে রেলওয়ে থেকে শুরু করে ভূগর্ভস্হ শ্রমিক, বৃটিশ টেলিকম, ফেলিক্সো ( দক্ষিণ পূর্ব বৃটেনের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর) এর বন্দর কর্মীরা, বরখাস্ত শ্রমিক, বাসচালক, এ্যামাজন…
Covid-19 pandemic: সর্বাত্মক পুঁজিবাদী বর্বরতা অথবা প্রলেতারিয় বিশ্ববিপ্লব
প্রতিদিন হাজারো মানুষ মারা যাচ্ছে। হাসপাতালগুলিতে নাভিশ্বাস অবস্থা। তারা ভয়ানক দ্বিধায় আছে যে, অসুস্থদের মধ্যে কে আগে চিকিৎসা পাবে, তরুণরা নাকি বৃদ্ধরা ? স্বাস্থ্যকর্মিরা নিজেরাই সংক্রমিত, অবসন্ন এবং মৃত্যুপথযাত্রী। সর্বত্রই চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব। প্রতিটি দেশের সরকার এখন ‘ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’, ‘জাতীয় অর্থনীতির স্বার্থ’ ইত্যাদির দোহাই দিয়ে নিজেদের মধ্যে মারাত্মক প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে। অর্থনৈতিক বাজার নিম্নমুখী। কোন দেশ কার মাস্ক চুরি করছে তাই নিয়ে আধিভৌতিক তরজা চলছে। ইতিমধ্যে দশ মিলিয়ন লোক বেকারত্বের নরকে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। সরকার এবং তার পোষা মিডিয়ার মিথ্যাচারের বন্যা অব্যাহত। এটাই…
কোভিডের মোকাবিলায় এক বছরের অবহেলা: পুঁজিবাদই হন্তারক!
এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই পৃথিবীর চারিদিকে কোভিড-১৯ দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে। দু হাজার কুড়ির নভেম্বর মাস থেকে সারা বিশ্বে কোভিড এর আরো ভয়ংকর হয়ে ওঠার যাত্রা অব্যাহত রয়েছে। ইউরোপের অবস্থার কিছুটা উন্নতি এবং আমেরিকা তার ভয়ংকর অবস্থা কিছুটা কাটিয়ে উঠলে ও ল্যাটিন আমেরিকা এবং ভারতীয় উপমহাদেশ এই মুহূর্তে সংক্রমণের শীর্ষে। চাইনার মতো দেশগুলিতে বৃহৎ সংখ্যক জনগণকে ভ্যাকসিন(1) দেওয়া সত্ত্বেও সংক্রমণ পিছু হঠে নি । পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে চীনা কর্তৃপক্ষের মধ্যেও কিছু কণ্ঠস্বর ভ্যাকসিনের "অপর্যাপ্ত" কার্যকারিতা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে। চীন এবং অন্যান্য বেশ কিছু দেশের মিথ্যা তথ্য…
আমাদের কমরেড কিষণের প্রতি শ্রদ্ধা
২০২০ সালের ২৬ শে মার্চ সারা বিশ্ব যখন কোভিড ১৯ এ আক্রান্ত তখনই কমরেড কিষণের মৃত্যুতে আই. সি. সি র সঙ্গে যুক্ত সকলেই এক বেদনাঘন অবস্থার সম্মুখীন হলাম। তাঁর মৃত্যু 'আই সি সি ' র কাছে যেমন বিশাল ক্ষতি, তেমনি ' আই. সি. সি' র ভারতীয় অংশের কাছেও সমান ক্ষতি । কিষণের অভাব আমরা সবাই গভীর ভাবে অনুভব করব। আই সি সি র কর্মকান্ডে কিষণের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত কিষণ ছিলেন একজন লড়াকু যোদ্ধা ।
আইসিসি-র প্ল্যাটফর্ম
ইতিহাসের দীঘর্তম ও গভীরতম প্রতিবিপ্লবের পর শ্রমিকশ্রেণী আবার শ্রেণীসংগ্রামের পথ খুঁজে নিচ্ছে । ছয়ের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে একদিকে পুঁজিবাদী ব্যবস্থার সঙ্কট তীব্র রূপ ধারণ করেছে অন্যদিকে শ্রমিকশ্রেণীর বতমান –প্রজন্মের উপর অতীতের দারুন পরাজয়ের প্রভাব পূবজদের তুলনায় অনেক কম , আর তাই বতর্মানের শ্রেণীসংগ্রাম ইতিমধ্যেই ধারণ করেছে ব্যাপকতম রূপ।১৯৬৮ সালের ফ্রান্সের ঘটনাবলীর পর থেকে ইতালি থেকে আজের্ন্টিনা,ব্রিটেন থেকে পোল্যান্ড সুইডেন থেকে মিশর,চীন থেকে পতুর্গাল ,আমেরিকা থেকে ভারত ,জাপান থেকে স্পেন সবত্র বিস্তৃত শ্রমিক সংগ্রাম পুঁজিপতিশ্রেণীর দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠেছে ।
বর্তমানে ফ্যাসিজমের বিপদ আছে কী? (Is there a danger of fascism today?)
গত ৩০শে জুন ২০১২-য় প্যারিসে আইসিসির একটা পাবলিক মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনাটা শুরু করতে এবং তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুবিধার্থে আমরা একটি লিখিত প্রেজেনটেসন্ রাখি। বর্তমান প্রবন্ধটা তার ওপর ভিত্তি ক’রে লিখিত।
অতি দক্ষিণপন্থীদের নির্বাচনী সাফল্য কিছুসময় ধ’রে ফ্যাসিজমের উত্থানের আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। সত্যি বলতে কি, প্ররোচনামূলক, অন্য দেশের প্রতি তীব্র ঘৃণা(Xenophobic) ছড়ানো এবং উগ্র জাতিবিদ্বেষী(racist) বক্তব্য দিয়ে এই রাজনৈতিক দলকে আলাদাভাবে চেনা যায়।...৩০ শে জুন: সময় এসেছে আমাদের লড়াইয়ের নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতেই তুলে নেওয়ার!
শিক্ষা, সরকারী অফিস ও স্থানীয় প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানের প্রায় দশলক্ষ শ্রমিক ৩০শে জুন(২০১১) ধর্মঘটের প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন? সেই একই কারণে যে কারণে ২৬শে মার্চ পাঁচলক্ষ শ্রমিক শ্রমিক লন্ডনের রাজপথে মিছিল করেছিল; সেই একই কারণে যে কারণে গত শরতে ইউনিভার্সিটি এবং স্কুলের দশহাজার ছাত্রছাত্রী মিছিল, জমায়েত ইত্যাদির মধ্যে দিয়ে আন্দোলনে সামিল হয়ে ছিল। জীবন যাত্রার ওপর সরকারের অন্তহীন আক্রমণে শ্রমিকেরা জেরবার।
দক্ষিণ কোরিয়ার শাসকগোষ্ঠী গনতন্ত্রের মুখোস ছিঁড়ে ফেলছে
আমরা সদ্য কোরিয়া থেকে খবর পেয়েছি যে সোস্যালিস্ট ওয়ারকারস’ লীগ অফ কোরিয়া/ SAnorun’র আটজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কুখ্যাত ‘রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা আইনে’ বিচারাধীন অবস্থায় আটক রাখা হয়েছে। আগামী ২৭শে জানুয়ারী তাদের সাজা ঘোষণা করার কথা।
এতে কোন সন্দেহ নেই যে এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রনোদিত বিচার এবং শাসকশ্রেণি যাকে বিচার বলে থাকে তার হাস্যকর প্রহসন ছাড়া কিছু নয়। এই প্রসঙ্গে তিনটি তথ্যের উল্লেখ করা যেতে পারে।...ওবামা প্রশাসনের বিদেশনীতি - বন্ধুত্বের মুষ্টি ! (Obama Administration's Foreign Policy—the fist of friendship)
আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদ বর্তমানে শত্রুদেশএবং তথাকথিত মিত্রদেশ উভয়দিক থেকেই একইরকমভাবে সমস্যায় জর্জরিত। বুশ প্রশাসনের ‘একলা চলো’ নীতির পরবর্তী পর্ষায়ে ওবামা নির্বাচিত হওয়ায় ধরে নেওয়া হয়েছিল যে আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদ আন্তর্জাতিকক্ষেত্রে তার অভিযানের কলাকৌশলের ভিত আরো মজবুত করতে কিছুটা বিলম্ব করার নীতিই নেবে। ওবামার শান্তিকামী ইমেজ এবং তার প্রশাসনের সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের দৃষ্টিভঙ্গী আর কূটনৈতিক প্রকৌশলগুলি আসলে ছিল দ্বিতীয় সারির প্রধান শক্তিগুলিকে নিজের মিলিটারী শক্তির সঙ্গে সংযুক্ত করে শত্রুদেশগুলিকে প্রতিহত করার পদক্ষেপমাত্র। ইন্টারন্যাশনাল রিভিউয়ের ১৩৮ নং সংখ্যায় বলা হচ্ছে, “…
কলকাতার চটকল শ্রমিকের সংগ্রামে ইউনিয়নগুলোর অন্তর্ঘাত (স্যাবোটাজ)
কলকাতার নিকটবর্তী ৫২ টি জুটমিলের প্রায় আড়াইলক্ষ শ্রমিক ২০০৯-র ডিসেম্বরের শুরুতেই ধর্মঘটে নামে। মজুরী বাড়ানো, অস্থায়ী ভিত্তিতে নিযুক্ত বহুসংখ্যক শ্রমিকের স্থায়ীকরণ, অবসরকালীন সুযোগ সুবিধা প্রদান এবং জীবনযাপনের মান উন্নয়ন ও কারখানায় নানান অসুবিধাজনক পরিস্থিতির বদল ইত্যাদি নানা দাবীতে এই ধর্মঘট। সর্বোপরি, বকেয়া বেতন আদায়, স্বাস্থ্য বীমা, প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং অন্যান্য খাতে কেটে নেওয়া টাকা শ্রমিকদের নামে যথাযথভাবে জমা দিতে বাধ্য করা ছিল এই আন্দোলনের অন্যতম দাবী। দুমাস ধ’রে চলার পর ১২ই ফেব্রুয়ারী ২০১০ ইউনিয়নগুলো ধর্মঘট প্রত্যাহার করে এবং শ্রমিকদের কাজে যেতে নির্দেশ দেয়, যদিও ম্যানেজমেন্টের কাছ…
‘ব্যয়সংকোচের দাওয়াই’-এর বিরুদ্ধে: শ্রেনিসংগ্রাম!
এই মুহূর্তে ভীষণ অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে গ্রীসের পরিস্থিতি। যেকোন মুহূর্তে তীব্র ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে শ্রমিক শ্রেণি। গ্রীক রাষ্ট্র শ্রমিক শ্রেণির ওপর অবিরাম আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে—সমস্ত প্রজন্মের, সমস্ত সেক্টরের ওয়ার্কার আজ সেই আক্রমণের শিকার। প্রাইভেট সেক্টর, পাবলিক সেক্টর, বেকার, পেনসনজীবি, আংশিক সময়ের চুক্তিতে কর্মরত ছাত্র-ছাত্রী কেউ বাদ যায়নি। সমগ্র শ্রমিক শ্রেণি নিদারুণ দারিদ্রের মুখোমুখি।রাষ্ট্রের আক্রমণের সামনে দাঁড়িয়ে শ্রমিকশ্রেণি তার পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করেছে। অন্যান্য কান্ট্রিগুলোর মতই গ্রীসেও শ্রমিকশ্রেণি নেমেছে রাস্তায়, করছে ধর্মঘট,জানিয়ে দিচ্ছে
১৯২৯-২০০৮ – পুঁজিবাদ হয়ে উঠেছে একটা দেউলিয়া ব্যবস্থা সম্ভব হয়ে উঠেছে অন্য এক বিশ্বব্যবস্থা: কমিউনিজম
ইন্টারন্যাশানাল কম্যুনিস্ট কারেন্ট আয়োজিত আলোচনা সভা
প্রিয় সাথী,
সকলকে আইসিসি'র পক্ষ থেকে স্বাগত জানাই। আপনাদের মধ্যে অনেকেই জানেন আইসিসি, মানে ইন্টারন্যাশানাল কম্যুনিস্ট কারেন্ট ধারাবাহিকভাবে সারা পৃথিবী জুড়েই শ্রমিকশ্রেণির সচেতনতা বিকাশে সাহায্য করতে সচেষ্ট। বর্তমান সময়কালে শ্রমিকশ্রেণির সচেতনতার অর্থ কী হবে, তার বর্তমান সংগ্রামের গতিপ্রকৃতি কী হবে, কম্যুনিজমের পথে এগোনোর জন্য শ্রেণির আজকের কর্তব্য কী ইত্যাদি বিষয়ে সচেতন, খোলামেলা আলোচনা এবং স্বচ্ছতা অর্জনের নিরলস প্রয়াস আজকের দিনে আমাদের কর্তব্য ব'লে আইসিসি মনে করে এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে তা পালন করার চেষ্টা করে। ভারতে আজকের এই আলোচনা সভা সেই স্বচ্ছতা অর্জনেরই একটা প্রয়াস…
ইন্টারন্যাশনাল কম্যুনিষ্ট কারেন্টের মৌলিক রাজনৈতিক অবস্থান
সিঙুর , নন্দীগ্রাম - বামপন্থী বর্বরতার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ
The organization of revolutionaries
শ্রমিক শ্রেণীর একনায়কত্ব।
পুঁজিবাদী সমাজের বিপ্লবাত্মক রূপান্তরের প্রাথমিক শর্ত এবং প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে শ্রমিক শ্রেণীকে সারা পৃথিবী জুড়ে রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল করতে হবে অর্থাৎ প্রথমতঃ সারা দুনিয়ার সমস্ত বুজোর্য়া রাষ্ট্রযন্ত্রকে সম্পূণরূপে ধ্বংস করতে হবে ।
বিশ্ব শ্রমিকশ্রেণীর বিশ্বব্যাপী বিপ্লবী সংগ্রামের প্রথম বিশাল জোয়ার
পুঁজির পচনশীল অবস্থার শুরুর সূচক হিসেবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এটাও প্রমাণ করে দিল যে শ্রমিকশ্রেণীর বিপ্লবের জন্য প্রয়োজনীয় বস্তুগত অবস্থা (Objective conditions) পরিপক্ক হয়ে উঠেছে । সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধের বিরুদ্ধে শ্রমিকশ্রেণীর বিপ্লবী অভ্যুথ্থানের জোয়ারের বজ্রনিনাদে কেঁপে উঠল রাশিয়া ও ইউরোপ , সেই দুনিয়া কাঁপানো আওয়াজে বেশ ভালোভাবেই প্রভাবিত হল উভয় আমেরিকাও , চীনেও প্রতিধ্বনিত হল সে আওয়াজ আর এইভাবে এই বিপ্লবী অভ্যুথ্থানের ঢেউ পুঁজিবাদ উচ্ছেদের ঐতিহাসিক কর্তব্য পালনের পথে বিশ্ব শ্রমিকশ্রেণীর প্রথম প্রচেষ্টায় পরিণত হল ।
‘শ্রমিকদের’ পার্টিগুলির প্রতিবিপ্লবী চরিত্র
যে সমস্ত পার্টি বা সংগঠন--‘সমাজতন্ত্র' ‘গণতন্ত্র' , ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধিতা' (Anti-Fascism) , ‘জাতীয় স্বাধীনতা' (National Independence) , ‘সংযুক্ত মোর্চা'(United front) অথবা ‘মন্দের ভালো'(Lesser evil)-র নামে বুজোর্য়া রাষ্ট্র ও গোষ্ঠীগুলোর মধ্যেকার অনিবারয দ্বন্দ্বে কোন না কোন রাষ্ট্র বা গোষ্ঠীর পক্ষে দাঁড়ায় (এমন কি তা সমালোচনামূলক এবং শর্তাধীন হলেও ), ----যারা বুজোর্য়াদের নিবার্চনী সার্কাস বা শ্রমিকশ্রেণী বিরোধী ট্রেড ইউনিয়নবাদী ক্রিয়াকলাপে অংশগ্রহন অথবা স্ব-পরিচালনার (Self management) বিভ্রান্তি সৃষ্টির মধ্যে রাজনৈতিক ক্রিয়ার্কমের ভিত্তি খুঁজে পায়,
তারা সকলেই…‘আংশিক’ সংগ্রাম: প্রতিক্রিয়াশীলতার গোলকধাঁধা
পুঁজির পতনশীল অবস্থা সবরকম নৈতিক মূল্যের পচনশীলতার প্রক্রিয়াকে (decomposition) জোরদার ক'রে তুলেছে এবং মানবিক সম্পর্কের জগৎকে চরম অধঃপতন ও ভাঙনের মুখোমুখি এনে দাঁড় করিয়েছে ।